মধ্যমপন্থার সমস্যা

জনপ্রিয় হইতে চাইলে মধ্যম পন্থায় থাকতে হয়। ভালো এবং মন্দের মাঝখানে, ভালোরে হাই হ্যালো, মন্দরেও হাই হ্যালো। ভালোর লাইকও পাওয়া গেলো, মন্দেরও লাইক। এর চেয়ে খারাপ জিনিস আর কি হইতে পারে?

দুনিয়াতে এই মধ্যমপন্থার লোকেরা বেশি। এরা কোন পক্ষ নেয় না, অবস্থান নেয় না। হিটলার যখন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে মানুষ পুঁড়ায় তখন এরা মাঝখানে দাঁড়াইয়া দেখে কিন্তু নিজে অংশ গ্রহণ করে না যাতে নিজের উপরে দোষ না পড়ে।

যখন কোন ভালো কাজ হয় তখন মাঝখানে দাঁড়াইয়া ভাগ লয়। দুনিয়াতে খারাপ মানুষ যদি অল্প হয়ে থাকে, তবে এই খারাপ লোকদের শক্তির মূলে এই মধ্যমপন্থীরা।

আপনার মতের সবচেয়ে শক্তিশালী বিরুদ্ধ মত নিয়া আপনি চিন্তা করবেন। যাতে নিজের অবস্থান যাচাই করতে পারেন। আপনার মত নিজের কাছে ঠিক নয় মনে হলে মত বদলাবেন। এতে দোষ কিছু নাই। কিন্তু মধ্যমপন্থায় যাইবেন না। মধ্যমপন্থা অর্ধেক শয়তান, অর্ধেক মানুষ। যখন যেটা ফেভারে সেই রূপ দেখাবে সে।

শয়তান থেকে সাবধান হওয়া যায় কিন্তু অর্ধেক শয়তান এবং অর্ধেক ভালো মানুষ টাইপের সেনতোররে চিনা যায় না, ফলে দেশ ও সমাজের ক্ষতি হয়।

মুরাদুল ইসলাম