পরনিন্দা কী?

নিন্দা হইল অন্যের সম্পর্কে কুৎসা রটানি। যে খারাপ কাজ সে করে নাই তা বলা এবং এইভাবে তার অবস্থানরে অন্যের কাছে দূর্বল কইরা দেয়া। তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

কিন্তু কেউ কোন খারাপ কাজ করলে তা বলা নিন্দা নয়। ক্ষেত্রবিশেষে তা দায়িত্ব।

এক্ষেত্রে একটা সহজ নীতি হচ্ছে, আপনি যেই জিনিস তার সামনে বলতে পারবেন না, সেই জিনিস সে উপস্থিত না থাকলে বলবেন না।

এই ধরনের সমালোচনারে সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে পরনিন্দার কাতারে ফেলা হয়। পরনিন্দার কাতারে ফেলে মানুষেরা স্ব স্ব খারাপি বজায় রাইখা চলেন। একের খারাপি নিয়া অন্যে কথা বলেন না, তাদের খারাপির যৌথ খামার আমাদের পুরা সমাজটাই।

এই ধরনের সমালোচনা পাঁচজনের সামনে আপনে করতে চাইলে পাঁচ জন বলবেন তা পরনিন্দা। আবার আলাদা আলাদাভাবে এই পাঁচ জনের সাথে কারো বিষয় নিয়া আপনি সমালোচনা করতে পারবেন। তখন তিনিও তাতে অংশ নিবেন। অংশ নিবেন এই কারণে যে এখানে কথা বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। দুইজনের ভিতরেই থাকবে।

এইটা সমালোচনা হইলেও বাজে। কারণ সমালোচনাকারী লূকাইয়া সমালোচনা করেন যাতে ঐ ব্যক্তি না জানে। তারা নিজেরা নিজেরা তাহাদের অন্তরে ঐ লোক সম্পর্কে নানাবিদ খারাপ জিনিস লইয়া ঘুরেন, ঐ লোকও হয়ত তাদের বা অন্যদের সম্পর্কে এম্ববিদ নানা প্রকার খারাপ চিন্তা লইয়া ঘুরেন।

এই জিনিসটা মোটের উপর খারাপ। কারণ তা মানুষ এবং সমাজরে খারাপির দিকেই ধাবিত করে। এটা খারাপির অনুকূল অবস্থা তৈয়ার করে। খারাপি দেইখা নিশ্চুপ থাকা এইসব মানুষেরা, নিজের সেই খারাপির অংশে যুক্ত হইয়া যান। তাদের চুপ থাকাই, লুকাইয়া বাক্সবন্দী সমালোচনা করার প্রবণতাই সমাজের সামগ্রিক খারাপির গোড়ায় জৈবসারের ভূমিকা পালন করে।

মুরাদুল ইসলাম