নবাবের বউ

পলাশীর যুদ্ধের পর নবাব সিরাজ সাহেবের ফ্যামিলির মহিলাদের কী হইছিল তা ইন্টারেস্টিং বিষয়। নবাব ফ্যামিলি বলতে আলীবর্দী খান সাহেবের ফ্যামিলিও ইনক্লুডেড। মীরন ও জাফর আলী খান এনাদের কারাগারে রাখছিলেন। পরে প্রিয় খালাম্মা ঘষেটি বেগম ও আমিনা বেগমরে জাফরপুত্র মীরন নৌকাডুবি ঘটাইয়া খুন করেন। মীরন, মীর জাফর, বা রেজা খান নবাবের ফ্যামিলির মহিলাদের জেলেই রাখেন। তাদের মুক্তি দিন ১৭৬৫ সালে ক্লাইভ। ক্লাইভ নবাবের বউ লুৎফুন্নেছার জন্য মাসিক ৬০০ টাকা ভাতাও বরাদ্দ করেন। ১৭৮৭ সালে নবাব সিরাজ সাহেবের বেগম কর্নওয়ালিস সাহেবের কাছে তার দু:খ দূর্ভাগ্যের গীত গাইয়া ভাতা বৃদ্ধির আবেদন করেন। তিনি তার পত্রে জানান বাকী জীবন সম্মান ও মর্যাদার সাথে কাটাইতে তার এই টাকা দরকার। যেই ইংরাজ কোম্পানি তার জামাইরে নাশ করলো, তাদের কাছেই ভাতার আবেদন জানাইলেন নবাব পত্নী। সময় বড়ই অদ্ভুত হয়, এবং মানুষজাতিও। কোম্পানি বেগমের এহেন আবেদনে অবশ্য কান দেয় নাই। নবাব সিরাজ যাই থাক, ইংরাজদের লগে ফাইট দিতে গেছেন। কিন্তু তার বউ সেই স্পিরিট আর ধইরা রাখতে পারেন নাই। কোম্পানি আবেদন গ্রহন না করায় তিনি টাকা বাড়াইতে পারেন নাই, ফলে তাহার আকাঙ্খিত মর্যাদা ও সম্মানের জিন্দেগী পান নাই। এবং ইতিহাসেও সম্মান আর মর্যাদার জিন্দেগী পাইলেন না, এই আবেদনের কারণে।

মুরাদুল ইসলাম