দূর্বলরে দিয়ে কিছুই হয় না।

দূর্বলরে দিয়ে কিছুই হয় না। যে শিক্ষিকার ঘুমন্ত ছবি ভাইরাল হয়েছে তিনি শারীরিক ভাবে দূর্বল ছিলেন। পর্যাপ্ত ঘুম তার হয় নাই ঐদিন। শারীরিক অসুস্থতাও ছিল। হয়ত পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব, যা আমাদের সিংহ ভাগ মানুষেরই আছে। তার দায়িত্ব খেলাপ নিজের দুর্বলতার জন্যই, তিনি পারেন নাই।

যে উপজেলা চেয়ারম্যান ছবি তুলেছে সে নৈতিক ভাবে দূর্বল। সে তার স্কুলে বা অন্য বিদ্যায়তনে বা পরিবারে দূর্বল শিক্ষা পাইয়া বড় হইছে। এবং হয়ত ঐ অঞ্চলে জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ও তার আছে। তাই নিজের কর্মপটুতা দেখাইতেই সে এই চালাকি করেছে। ঘুমন্ত শিক্ষিকার ছবি তুলে ফেইসবুকে দিয়েছে। তার এই তৎপরতা তার অন্তঃস্থ দূর্বলতারেই প্রকাশ করে।

নিষ্ঠুরতার জন্ম হয় দূর্বলতা থেকে। দূর্বলই নিজেরে শক্তিশালী দেখাইতে, নিজের দুর্বলতাজনিত হীনম্মন্যতা ঢাকতে ক্রুয়েল হইয়া উঠে।

আমাদের জাতিগত দূর্বলতা নিরসন করা দরকার। আমি খালি দূর্বলদের দেখি, ভালনারেবল। কেরিয়ার নিয়া হতাশ, রাখালহীন গরুর মত অবস্থা; যাদের একটু সুবিধা দিয়া যে কেউ কিনে নিতে পারে। মানুষ খুবই অল্প দামে বিক্রি হয় এতদঞ্চলে।

অক্টোবর ২০, ২০১৭।

মুরাদুল ইসলাম