ট্রাম্পের মেইড ইন বাংলাদেশ শার্ট ও বাংলাদেশীর গর্বের দিকে দৃষ্টিপাত

আমেরিকার কিং খান ট্রাম্প খান শপথ অনুষ্ঠানে মেইড ইন বাংলাদেশ শার্ট পইরা ছিলেন এমন নিউজে বাংলাদেশের ফেইসবুকে গর্ব দেখা যাওয়া শুরু হয়েছে। যারা গর্বিত হইছেন তাদের জন্য ইউএসএ টুডের আরেকটা নিউজ। অক্সফামের ফালতু স্টাডি (আট জন ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ দুনিয়ার গরীব অর্ধেক লোকের সম্পদের সমান।) নিয়া তারা যে রিপোর্ট করছিল, এই রিপোর্টের দ্বিতীয় লাইনই ছিল এমনঃ

“একজন টপ কর্পোরেট সিইও বাংলাদেশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীতে কাজ করা দশ হাজার ব্যক্তির সমান আয় করেন বছরে।”

এইভাবে বাংলাদেশ পরিচিত হয় বহিঃর্বিশ্বে। এইটাই পরিচিতি তথা ব্র্যান্ডিং। আপনাদের ক্রিকেট টিম গোল দেয় যে নিয়মিত তা পরিচিতিতে যুক্ত হয় না ঐভাবে। দেশ পরিচিতি পায় গার্মেন্ট শ্রমিকের দেশ, যারা অমানবিক বেতন পায়, ভবন ধ্বইসা মরে। এইটাই বাস্তবতা। ফলে মেইড ইন বাংলাদেশ শার্টে লাফাইয়েন না বুর্জোয়া সন্তানেরা। যারা এগুলি বানায় তাদের কুত্তা খাটানি দিয়াই আপনাদের সুখের স্ট্র্যাকচার দাঁড়াইয়া আছে। এইটা ভাইবা একটু লজ্জ্বা পাইলে পাইতে পারেন।

আর লজ্জ্বা না আসলে আর কী করবেন। হলিউডের বা বলিউডের দুইটা মুভি দেখুন, খেলা দেখুন আর হালকা মুতে শুয়ে পড়ুন। (জানুয়ারী ২১, ২০১৭)

মুরাদুল ইসলাম