টরান্টিনো ভায়োলেন্স

টরান্টিনো ভায়োলেন্স পপুলার দুনিয়ায়। এইসব ভায়োলেন্স বিভিন্ন দেশের নয়া, পুরানা পরিচালকেরাও ব্যবহার করতেছেন। যেমন, চীনের ছবি টাচ অব সীন। যেটা তার সোশিও পলিটিক্যাল ক্রিটিকের জন্য চীনে মুক্তি পায় নাই।

এই ধরনের ভায়োলেন্স ফিল্মে দেইখা লোকে মজা পায় কারন তারা জানে এটা ফিল্ম। সত্যি সত্যি লোকেরা এভাবে মরতেছে না বা একে অন্যরে মারতেছে না। কিন্তু বাস্তব জীবনে যখন এই ধরনের ভায়োলেন্সের ভিড্যু তার সামনে উপস্থিত হয়, সে দেখে তখন তার আর মজা লাগে না। রাগ হয়, ক্ষোভ হয়, ভয় হয়। তার মধ্যে টেনশন কাজ করে। বাস্তবের ভিড্যুটার ভিজুয়ালাইজেশন খারাপ, হয়ত ঝাপসা ঝাপসা ছবি। তবুও সে ডরায়। তার চিন্তায় এই তথ্য যায় যে এটা সত্যি সত্যি ঘটতেছে কোন মানুষের লগে। এই বোধ থেকে তার নয়া অনুভবের উৎপত্তি, যে অনুভব ফিল্মে দেখার কালে থাকে না।

একইরকম, হিউমারে হয়। যখন কাউরে আছার খাইয়া পড়তে দেখা যায় বা কোন দূর্ঘটনা, মানুষ তখনই হাসে যখন সে বুঝে ওই ব্যাক্তির কোন বড় ক্ষতি হচ্ছে না। হিউমার বা কমেডির এই তত্ত্বের লগে ভায়োলেন্স দেইখা মজা পাওয়ার অনুভূতির মিল আছে দেখা যায়।

আবার কোন পশু যখন ভায়োলেন্সের শিকার হয় তখন মানুষের দু:খানুভূতি হয় না তেমন, এর কারণ পশুর অনুভূতি নাই বা আমাদের মত নয় এই চিন্তা। অথবা পশুর জন্মই হইছে এইভাবে আহার যোগাইতে মরার জন্য এমন চিন্তা। কোন চোর ধরা পড়লে লোকে যে মারে, তখন সেই ভায়োলেন্সে তারা খুব ব্যথিত হয় না। কারণ মনে করে যে, এটা চোরের প্রাপ্য। ভায়োলেন্সের জাস্টিফিকেশন থাকলে তা আর ব্যথিত করে না লোককে।

অক্টোবর ৬, ২০১৬

মুরাদুল ইসলাম