জ্ঞাণ বিষয়ক

জ্ঞান অর্জনের পথে বাঁধা হচ্ছে ইগো। মূর্খদের এই ধরনের ইগো বেশি থাকে। ফলে তারা তাদের লালিত দৃষ্টভঙ্গীর বাইরের কিছু পড়তে বা ভিন্ন ধরনের চিন্তার সাথে পরিচিত হতে সন্ত্রস্ত বোধ করে। মূর্খরা তাদের এই ইগোর কারণেই তাদের চাইতে স্মার্ট লোকদের কাছ থেকে কিছু শিখতে চায় না। মূর্খরা সর্বদা এই ভয়ে থাকে, ‘কারো দ্বারা প্রভাবিত হইলাম নাকী’।

পক্ষান্তরে জ্ঞানীরা শিখতে চান। জ্ঞানীরা তাদের চাইতে স্মার্ট মানুষদের কাছ থেকে শিখতে কুন্ঠাবোধ করেন না। জ্ঞানী প্রভাবিত হইতেও ভয় পান না। কারণ তিনি জানেন তার নিজস্ব যা আছে তা প্রভাবের তোড়ে ভাইসা যাবার মত ঠুনকো নয়।

জ্ঞানীরা সংখ্যায় কম। তাদের খুঁইজা বাইর করতে হয় অনেক ক্ষেত্রে। আর মূর্খরা ফেনার মত, ভেসে থাকে।

 

জ্ঞাণ অর্জনের পথে দ্বিতীয় বাঁধা জনপ্রিয় হইবার বাসনা। কারণ জনপ্রিয় হইবার চিন্তায় তখন জ্ঞানের চিন্তা বাদ দিয়া “জন” এর মনতুষ্ঠির কাজ কইরা যাইতে হয়।

 

জ্ঞাণ অর্জনের পথে আরেক বাঁধা গ্রুপিং। গ্রুপে থাকলে মানুষেরা উগ্র মত ধারণ করে বেশি, নিজস্ব চিন্তার স্বল্পতার কারণে। এর নাম দেয়া হইছে গ্রুপ পোলারাইজেশন।

তবে ভালো জ্ঞাণীদের গ্রুপে যাইতে পারা জ্ঞাণ অর্জনের পক্ষে সহায়ক হইতে পারে কিন্তু তাদের গ্রুপে যাওয়া অসম্ভবের কাছাকাছি। কারণ এই ধরনের মানুষেরা গ্রুপ করতে পারেন খুব কম। পাভেল বাসিনস্কি মতে, তলস্তয় ওয়ার এন্ড পিসে এই কথাই বলেছেন। ভালো মানুষদের একত্রিত করা কঠিন, আর মন্দরা সহজেই একত্রিত হয়ে যায়।

আর জ্ঞাণ অর্জনের পথে চরমতম বাঁধা হচ্ছে তেলবাজি। তেলবাজি মূর্খদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। যারা জনপ্রিয় হইতে চায় বা অন্য কোন সুবিধা নিতে চায় এরা তেলবাজি করে বেশি। অতীতে জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে যদি কখনো তেলবাজি করে থাকেন তাহলে তওবা অথবা গঙ্গাস্নান করে পবিত্র হতে হবে। অন্যথায় এই পাত্রে আর জ্ঞাণ জমা হবে না।

মুরাদুল ইসলাম