গুরুচণ্ডালি বলতে কিছু নাই

“সাহিত্যিক দণ্ডনীতির ধারা থেকে গুরুচণ্ডালি অপরাধের কোঠা উঠেই গেছে।”

ইহকাল ত্যাগ করার তিন বছর পূর্বে একজন লেখক চলতি বাংলা ভাষার একটা সার্ভে করে এই সিদ্ধান্তে আসেন। তার নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

উভয় বাঙলা – বাঙলা দেশের প্রধান সমস্যা নামক লেখায় মুজতবা আলী প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন ভাষাকে “পুত পবিত্র” রাখার চেষ্টাকে, এবং এর জন্য বিদেশী শব্দ বিতারণের মূর্খ চেষ্টাকে। তার কথা ছিল, এমন নানা দেশে নানা সময়ে দেখা দিয়েছে ও সামনে দিবে।

শেষে তিনি রবীন্দ্রনাথের উক্তিরই স্মরণ নেন।

কিন্তু এখনো আপনি দেখতে পাবেন অনেক মানুষ গুরুচণ্ডালীকে দোষ বলতে চায়। এরা হচ্ছে সেই প্রাচীন, রবীন্দ্রনাথেরও আগেকার সময়ের রক্ষণশীলদের ভূত। ভূতের তো মৃত্যু নেই। এদের উপর ছওয়ার হইছে তাই।

মুরাদুল ইসলাম