ক্রিকেটপ্রেমী জামাই বউয়ের সংসার

ফীড দেখতে গিয়া একটা লেখা দেইখা থমকে দাঁড়াইতেই হইল। একজন ফেসবুক জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব লেখছেন, ‘পনের মিনিট আগে ভাবছিলেন ম্যাচ জিতলে তার বউরে কিস করবেন। আর এখন চড় মারতে করতেছে হাত নিশপিশ।’

ফান কইরাই বলছেন উনি।

গতদিনের খেলা নিয়া এই উক্তি। কিন্তু ভাবলাম যে, বউ কিস খায় বা চড় খায়; জামাইয়ের খেলা দেইখা উৎপন্ন মুডের উপরে নির্ভর করে। এইরকম একটা গল্পের কথা ভাবেন। সমাজের পুরুষতন্ত্র খেয়াল করেন। হাজার বছর ধরে উপন্যাসের আবুলরে মনে করেন। আর ভাবেন এই শিক্ষিত আধুনিক জনপ্রিয় লেখক বা ব্যাক্তিদের নিয়া। কোন পার্থক্য পান কি?

মানসিকতায় যে চরম পুরুষতন্ত্র তাই এই ধরনের উক্তি বয়ানরে মজা করা হইল মনে করে। উক্ত পোস্টে দুই হাজার আট শ ছত্রিশটা লাইক আছে। পুরুষতন্ত্র পাবলিকের মনে, পাবলিকও এমন জিনিশ খায় তাই।

হয়ত বাংলার কোন এক গ্রামে বা শহরতলীতে এমন ফ্যামিলি আছে। যেইখানে বাংলাদেশ হারলে ক্রিকেট প্রেমী জামাই বউরে মারেন। অসম্ভব লাগে নাকী? তাইলে খেলার জায়গায় ব্যবসা ধরেন। জামাই ব্যবসায় লস খাইয়া ঘরে যান, বউয়ের উপর অহেতুক রাগারাগি কইরা ঝাল মেটান, মানসিক টর্চার করেন। এইবার মনে হয়, আপনাদের পরিচিত পরিচিত লাগতেছে ব্যাপারটা।

অক্টোবর ৮, ২০১৬

মুরাদুল ইসলাম