মেধা আলমেটলী সোশিও ইকনোমিক ক্লাসের উপরে নির্ভর করে

গরীব ফ্যামিলির বাচ্চা ভাষা শেখার ক্ষেত্রে ধনী ফ্যামিলির বাচ্চা থেকে অনেক পিছায়া থাকে। এ সংস্লিষ্ট সবচেয়ে দীর্ঘ রিসার্চ বলে, দুই বছর বয়সেই গরীবের পোলা ৬ মাস পিছে পড়ে যায়।

ধনীর ১৮ মাসের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে তারা কারেক্ট অবজেক্ট চিহ্নিত করতে সময় নেয় ৭৫০ মিলিসেকন্ড।

ফকিন্নি ক্লাসের ১৮ মাসের বাচ্চারা কারেক্ট অবজেক্ট চিহ্নিত করতে আরো ২০০ মিলিসেকন্ড স্লো।

এই ২০০ মিলসেকন্ড মেন্টাল প্রসেসিং স্পিডের ক্ষেত্রে বিশাল ব্যবধান। গরীবের বাচ্চারা প্রায় ত্রিশ ভাগ কম শব্দ শিখে ১৮ থেকে ২৪ মাসের ধনীদের বাচ্চার চাইতে।

এই ভাষা শেখা ধনীর বাচ্চাদের মেধায়, প্রতিভায় আগাইয়া রাখে। ঘটনা এখানে হচ্ছে, ধনী মা বাপ ক্যালকুলেশন করে বাচ্চা নেয়, বাচ্চারে সময় দেয়, তার সাথে ধনী ধনী কথা বলে; এভাবেই বাচ্চাটা শিখে। পক্ষান্তরে, গরীব মা বাপ কাজেকর্মে বিজি থাকে, তাদের মন মেজাজও সব সময় ভালো থাকে না।

কাল রবার্ট সাপোলস্কির দীর্ঘ লেকচার শুনতেছিলাম। তিনি এক পর্যায়ে বললেন ভালো হেলথ বা মেন্টাল হেলথের জন্যে প্রথম যে ভুলটা আপনে করতে পারবেন না, তা হইল গরীব ঘরে জন্ম নেয়া। গরীব ঘরে জন্ম নিলেই আপনার হেলথের উপরে নানাবিদ প্রেশার পড়তে থাকবে।

যাইহোক, আমার এই অসাধারণ পোস্ট ধনী বিদ্বেষী নয়। আমার লক্ষ্য, যেসব সুবিধাপ্রাপ্ত উচ্চ মধ্যবিত্ত আর ধনীরা নিজেদের মেধার বড়াই করে, এরা। মেধা আলমেটলী সোশিও ইকনোমিক ক্লাসের উপরে নির্ভর করে। ফলে যে দরিদ্র ক্লাস থেকে আসছে তারে অবস্থাপন্ন ফ্যামিলি থেকে আসা ঘি মাখন খাওয়াদের সাথে মেধার প্রতিযোগীতায় পাঠালে তা ন্যায় হয় না।

মুরাদুল ইসলাম