ফেইক জালালউদ্দিন রুমী

আফগানিস্তানে জন্ম নেয়া জালালউদ্দিন রুমী নিজে নামায রোজা করতেন। ছিলেন সুন্নী মুসলমান। কোরানেও হাফিজ ছিলেন সম্ভবত। তার কবিতাগুলা কোরান থেকে সরাসরি প্রভাবিত। আধ্যাত্মিকতা তিনি কোরান থেকে নিছেন, নিজে পারসিয়ান ভাব মিশাইছেন এর সাথে। রুমীর এই আধ্যাত্মিকতা পশ্চিমে জনপ্রিয় হইছে বেশী ইংরাজি অনুবাদের মাধ্যমে। সেইসব ইংরাজি অনুবাদে রুমীর কবিতা থেকে দূর কইরা দেয়া হইছে কোরানিক সব রেফারেন্স, ইসলামিক কালচার। আবার যেখানে ধরেন দাউদ বা জোসেফ এইসব নবীদের কথা আছে, যারা বাইবেলেও উল্লেখ আছেন নবী হিশাবে তাদের রাখছেন অনুবাদকেরা। অর্থাৎ ইসলামিক কালচারহীন এক রুমীর কবিতা তারা নিজেরা বানাইছেন, বানাইছেন একজন ফেইক রুমী। রুমীর আধ্যাত্মিকতার চাইতে অনেক বেশী আধ্যাত্মিকতা আছে কোরানে, যেখান থেকে প্রভাবিত রুমীর কবিতা। দীপক চোপরা টাইপের লোকেরা বানাইছেন আরেক অদ্ভুত রুমী নিজেদের স্বার্থে। ফলে অরিজিনাল ফার্সির রুমী, মুসলিম রুমীর লগে তাদের রুমীর অনেক ফারাক। তাদের অনুবাদিত রুমী হইল ইসলামরে বাদ দেয়া রুমী, হালকা পাতলা লুতুপুতু আধ্যাত্মিকতা; যেইসব আপনারা ইংরাজিতে দেখেন। ধর্ম হিশাবে ইসলাম যেই আধ্যাত্মিকতা দিছে কোরানে, তার ব্যাপ্তী আরো বিস্তৃত। রুমীর কবিতার ইংরাজি অনুবাদে ইসলামরে মুইছা দেবার এই চক্রান্ত কালচারাল কলোনিয়ালিজম বলে অভিহিত ও খারাপ। যুক্ত লেখার লিংকে এসব নিয়া বিস্তারিত আলোচনা আছে।  (১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭)। 

মুরাদুল ইসলাম